Posts

Showing posts from March, 2025

স্যাকারিন আবিষ্কারের চিত্তাকর্ষক কাহিনী

Image
১৮৭৯ সাল - ল্যাবরেটরিতে কাজ করছিলেন রুশ বিজ্ঞানি কনস্টানটিং ফালবার্গ। এ সময় অজ্ঞাতেই তার হাতে মেখে যায় কিছু রাসায়নিক দ্রব্য। এগুলো তিনি খেয়ালই করেননি। কাজ করতে করতে অনেক রাত হয়ে যায়। ডিনারের কথা তার মনেই ছিল না। রাত অনেক গভীর হলে মনে পড়ে ডিনারের কথা। তৎক্ষণাৎ এক টুকরো রুটি নিয়ে তাতে কামড় বসান। কিন্তু মুখে দিয়েই অবাক তিনি! রুটি বেশ মিষ্টি লাগছিল। কেন...? উত্তর খোঁজার চেষ্টা করলেন। রুটিতে চিনি ছিল না এটা নিশ্চিত। পরে হাত মুখে দিয়ে বুঝতে পারেন মিষ্টির উৎস হলো হাত।অর্থাৎ হাতে লেগে থাকা অজ্ঞাত কেমিক্যাল। কী কী নিয়ে কাজ করছিলেন,সেগুলো ভালো করে যাচাই করার পর ফালবার্গ অবশেষে আবিষ্কার করে ফেললেন পৃথিবীর কৃত্রিম সুইটনার। পরে এর পেটেন্ট রাইটও নিয়ে নেন নিজের নামে। অচিরেই স্যাকারিন চিনির বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। স্যাকারিন একটি মিষ্টি জৈব পদার্থ। এটি চিনির চেয়ে প্রায় ৫০০ গুন বেশি মিষ্টি। এটি ডায়াবেটিস রোগীকে খেতে দেয়া হয়। স্যাকারিনের খাদ্যগুণ নেই। স্যাকারিন তৈরি হয় আলকাতরার পাতনের পর প্রাপ্ত উলুইন নামক পদার্থ থেকে। স্যাকারিন বিষাক্ত না। তবে এটি খাদ্যে না মিলানোই উত্তম। এটি খেলে তেমন ক্ষতি দেখা...

এ আই এখন আপনার মনের ভাব প্রকাশ করতে পারবে

Image
মস্তিষ্ক ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংযোগ নিয়ে গবেষণায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। ২০১৬ সালে নিউরালিংক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে তারা মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসানোর মাধ্যমে মস্তিষ্কের সংকেত বিশ্লেষণ ও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একই সময় মেটাও নিউরোটেকনোলজি গবেষণায় মনোযোগ দেয়, তবে তাদের লক্ষ্য ছিল ভিন্ন। মেটা এমন একটি প্রযুক্তি তৈরি করতে চেয়েছিল, যা অস্ত্রোপচার ছাড়াই মানুষের মস্তিষ্কের সংকেত গ্রহণ করে টাইপ করতে পারবে।   মেটার অর্থায়নে গবেষকরা প্রাথমিক পর্যায়ে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বসানো ইলেকট্রোড ব্যবহার করে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করে ভাষা ডিকোড করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বিশেষ করে পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। তবে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারভিত্তিক প্রযুক্তি খুব একটা গ্রহণযোগ্য নয়। তাই একটি পরিধানযোগ্য ও অপসারণযোগ্য ডিভাইসের প্রয়োজন, যা মানুষের শরীরের স্থায়ী অংশ হবে না।   কিছু বছর আগে মেটা তাদের ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস তৈরির প্রকল্প বন্ধ করে দেয়, কারণ সে সময়ের প্রযুক্তি বাজারে আনার মতো পর্যাপ্ত উন্নত ছিল না। ফলে ...

নেকড়ে ও তুর্কি দের সম্পর্কের গল্প

Image
 নেকড়ে একটি গর্বিত প্রাণী, তাই তুর্কিরা তাদের সন্তানদের সিংহের পরিবর্তে নেকড়েদের সাথে তুলনা করে। নেকড়ে একমাত্র প্রাণী যে তার স্বাধীনতার সাথে কখনো আপস করে না এবং কারো দাস হয় না, তবে ধরা পড়ার দিন থেকে খাবার গ্রহণ বন্ধ করে দেয়, তাই আপনি এটিকে চিড়িয়াখানা বা সার্কাসে দেখতে পাবেন না। নেকড়ে কখনও মৃতকে খায় না, বা নেকড়ে মাহরাম (মা, বোন) এর দিকে তাকায় না, অর্থাৎ নেকড়ে তার মা এবং বোনকে বাকি প্রাণীদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা জানে এবং খারাপভাবেও দেখে না। নেকড়ে তার স্ত্রীর প্রতি এতটাই অনুগত যে অন্য কারও সাথে তার সম্পর্ক নেই। একইভাবে, বিশ্বাসী (অর্থাৎ, তার স্ত্রী) একইভাবে নেকড়ের প্রতি অনুগত। নেকড়ে তার আদর্শ সন্তানদের জন্ম দেয় যাদের বাবা-মা একই থাকে ৷ যদি দম্পতির মধ্যে একজন মারা যায়, অন্যজন অন্তত তিন মাস মৃত্যুর জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে। নেকড়েকে আরবীতে "ইবনে আল-বার" বলা হয়, যার অর্থ "ভাল ছেলে" কারণ তার বাবা-মা বৃদ্ধ হয়ে গেলে সে তাদের জন্য শিকার করে এবং তাদের সম্পূর্ণ যত্ন নেয়। সেজন্য, তুর্কি এবং মঙ্গোলরা তাদের সন্তানদের সিংহের পরিবর্তে নেকড়েদের সাথে তুলনা করে। তারা...